সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ , ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ধোপাজানে অবৈধভাবে ১৪ দিনে ২৪ কোটি টাকার সিলিকা বালু লুট জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আমলারা : হাসনাত আবদুল্লাহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ধর্মপাশায় সড়ক পুনঃনির্মাণের দাবিতে অবরোধ যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত গণভোটে কী হবে? কলেজে টিকটক-লাইকির ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি সুনামগঞ্জে শব্দদূষণ বিরোধী অভিযান: ৫ যানবাহনকে জরিমানা, জব্দ ৭ হাইড্রোলিক হর্ণ দোয়ারাবাজারে স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা, বখাটের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ৭০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের ১০ লাখ টাকার চেক ফেরত দিয়েছি, কর্মীর ভালোবাসা গ্রহণ করেছি : কামরুজ্জামান কামরুল শহরে অনুমোদনবিহীন পোস্টার-ব্যানার অপসারণের নির্দেশ ধোপাজান খুবলে খাচ্ছে ‘লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং’ সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ৫ লাখ মানুষ নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের দরিদ্র মানুষের বিচারপ্রাপ্তির আশ্রয়স্থল গ্রাম আদালত : অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আক্তার জাহান যারা পিআর পদ্ধতির দাবি করে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় : কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন প্রাচীন বাংলার হাবেলি দুর্গ ও রাজবাড়ি দখল হচ্ছে প্রতিদিন ফুটপাতে ‘উচ্ছেদ-দখল’ খেলা ‘মর্যাদাপূর্ণ’ সিলেট-১ আসনে কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?

সুরমা নদীর ভাঙন : হরিনাপাটি গ্রাম রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ২৬-১০-২০২৫ ০৮:৩০:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-১০-২০২৫ ০৮:৩০:১৯ পূর্বাহ্ন
সুরমা নদীর ভাঙন : হরিনাপাটি গ্রাম রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিন
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হরিনাপাটি গ্রামের মানুষ আজ ভয়াবহ নদীভাঙনের মুখে। সুরমা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই জনপদ। ইতোমধ্যে বহু ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, বিদ্যালয় ও মসজিদ নদীগর্ভে চলে গেছে। গ্রামবাসী বারবার প্রশাসনের দ্বারে ঘুরে, লিখিত আবেদন, মানববন্ধন করে তাদের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো স্থায়ী উদ্যোগ দেখা যায়নি। গত শুক্রবার সপ্তমবারের মতো তারা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছেন - এ যেন অসহায় মানুষের বেদনার প্রতিধ্বনি। একটি গ্রাম হারিয়ে যাওয়া শুধু কিছু ঘরবাড়ি হারানো নয়; এটি একটি ইতিহাস, একটি সংস্কৃতি, একটি জীবনধারা মুছে যাওয়ার শোকগাথা। হরিনাপাটি গ্রামটি সুরমা নদীর ভাঙনে প্রতিনিয়ত ক্ষয় হচ্ছে। সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা প্রকৃত অর্থে ভাঙন রোধে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শুধু হরিনাপাটি নয়, আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রাম অচিরেই বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। প্রকৃতপ্রস্তাবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই নদীব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। অস্থায়ী নয়, স্থায়ী ব্লক বসানো ও বাঁধ নির্মাণ ছাড়া এই ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বিশেষত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি অনুরোধ- শুধু ফাইলের মধ্যে নয়, মাঠপর্যায়ে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। জেলা প্রশাসনেরও উচিত দ্রুত ভাঙনপ্রবণ অঞ্চলটি পরিদর্শন করে কার্যকর প্রতিরোধক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্যই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আরেকটি কথা না বললেই নয়, সুরমা পাড়ের মানুষ আজ প্রশাসনের দিকে চেয়ে আছে। এখনই যদি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু না হয়, তবে হরিনাপাটির মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। একটি গ্রাম হারানো মানে আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি- ভাঙনরোধে অবিলম্বে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ নিন, হরিনাপাটিকে বাঁচান, সুরমা পাড়ের মানুষকে রক্ষা করুন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স